ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ তৈরি করব মানসম্মত সেবা দিতে পারছে না সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলো বাংলাদেশের ওপর নিবিড় নজর রাখছি : জয়শঙ্কর ‘চূড়ান্ত কূটনৈতিক বিজয়’ বলছেন প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐতিহাসিক চুক্তি সরকারের কূটনৈতিক বিজয় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৩৮ গাজীপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে ২ যুবকের মৃত্যু পাবনায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ চলতি বছর করোনায় আক্রান্ত ৭২০ জন মৃত্যু আরও এক ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে রাকসু নির্বাচনের প্রার্থিতা বাতিল গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় আরও একটি মামলা যশোরে বিএনপি কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগ হাজারীবাগে বৃদ্ধা নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, থানায় স্বামীর আত্মসমর্পণ বরিশালে বাড়িতে হামলা করে যুবককে হত্যা কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা লোকসানে বন্ধ হচ্ছে পোলট্রি খাতের হাজার হাজার প্রান্তিক ক্ষুদ্র খামার পোরশায় ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল হাসান গ্রেফতার কোনো দলের প্রতি সেনাবাহিনীর আলাদা নজর নেই : সেনা সদর সর্দি-জ্বরে জর্জরিত দেশ

দু’মাস বন্ধ থাকবে পঞ্চগড়ের চা কারখানা

  • আপলোড সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০২:৩২:৩৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০১-২০২৫ ০২:৩২:৩৮ অপরাহ্ন
দু’মাস বন্ধ থাকবে পঞ্চগড়ের চা কারখানা
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের চা বাগানগুলোয় সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং (ছাঁটাই) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য টানা দুই মাস চা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ সময়টিতে চা পাতা উত্তোলন হবে না। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে প্রুনিং বা ছাঁটাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে আগামী দুই মাস পরিচর্যার মাধ্যমে চায়ের গুণগত মান নিশ্চিত হবে। ২০০০ সালে পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা চাষ শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারীতে ১০ হাজার একর জমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। গত বছর প্রচণ্ড খরতাপ ও বাগান মালিকদের চা পাতার ন্যায্য মূল্য না দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে চলতি মৌসুমে গত বারের চেয়ে ৩৪ লাখ কেজি চা কম উৎপাদন হয়েছে। অপরদিকে ১ হাজার একর জমির চা বাগানে নষ্ট করেছেন বাগান মালিকরা। নতুন মৌসুমে সব সংকট নিরসনসহ চাষিদের উদ্বুদ্ধ করে যাচ্ছে চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসন। পঞ্চগড় জেলায় চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা রয়েছে ২৯টি, ঠাকুরগাঁওয়ে রয়েছে ১টি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ চা বোর্ড পঞ্চগড়ের চা শিল্পকে আরও গতিশীল করার জন্য ‘টি সফট মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন’ অ্যাপ তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে কৃষক থেকে শুরু করে চায়ের নিলামের পরিসংখ্যান সফটওয়ারের মাধ্যমে করা হয়। এই সফটওয়ারে ১৪ দিনের একটি হিসেবে পঞ্চগড় থেকে প্রতিদিন গড়ে ৫৩ হাজার ৬০৪ দশমিক ৭৬ কেজি চা নিলামের জন্য অকশন সেন্টারে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে। যার প্রতিদিনের গড় মূল্য ৮৫ লাখ ৭৬ হাজার ৭৬১ টাকা ৯০ পয়সা। যেখানে রাষ্ট্রের গড় প্রতিদিন রাজস্ব আয় হয় ১৩ লাখ ৭২ হাজার ২৮১ দশমিক ৮৯ টাকা। চা চাষিদের অসন্তুষ্টি ও চাষ কমে আসার কারণ হিসেবে দেখা গেছে ফ্যাক্টরির কম্পিটিশন না থাকা। খারাপ কোয়ালিটি এবং চোরাই পথে চা বিক্রির কারণে চাষিরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। চাষিরা বলছেন তারা ভালোমানের চা দেয়ার পরেও ফ্যাক্টরি তা ঠিকমতো নিচ্ছে না। বাগান মালিক ও শ্রমিকরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা ফ্যাক্টরির নানা চক্রান্তের শিকার হয়েছি। বর্তমানে কিছুটা সমস্যা কেটেছে। এখন নতুনভাবে চা বাগানগুলো নিয়ে স্বপ্ন দেখছি। যেহেতু দেশে সব কিছুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সরকারের কাছে আশা করি, নতুন মৌসুমে যাতে আমাদের পাতার ন্যায্য মূল্যসহ মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। এজন্য আমরা ভালোমানের পাতা সংগ্রহে কাজ শুরু করেছি। বাংলাদেশ চা বোর্ডের আঞ্চলিক কার্যালয় পঞ্চগড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফ খান বলেন, গত মৌসুমে জেলায় ১ কোটি ৭৯ লাখ কেজি চা উৎপাদন হলেও চলতি মৌসুমে তা কমেছে। কম হওয়ার কারণ হিসেবে আমরা তিনটি কারণ (চাষিদের ন্যায্য মূল্য না দেওয়া, খরতাপ ও চোরাই পথে চা বিক্রি) পেয়েছে। অপরদিকে পঞ্চগড়ের চায়ের মান কীভাবে আরো ভালো করা যায় সে লক্ষে সব সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। এদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ২ মাস প্রুনিং চলবে। এতে করে নতুন মৌসুমে সুন্দর গুণগত মানের চা পাতা পাওয়া যাবে।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য